লোকটির পাশে তার পোটলায় টাকাকড়ি জিনিসপত্র সবই রাখা ছিল। তার কথা শেষ হতেই নাসিরুদ্দিন সাহেব সেই বোচকাটা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলেন। মোল্লা সাহেবকে পোটলাটা নিয়ে যেতে দেখে লোকটিও তার পেছনে দৌড়াতে লাগল প্রাণপণে। কিন্তু মোল্লা সাহেব  খুব দৌড়াতে পারতেন এবং বুদ্ধিও আছে - এমন অবস্থায় নাসিরুদ্দিনকে ধরে কার সাধ্য! দেখতে দেখতে তিনি রাস্তা ছেড়ে জঙ্গলে ঢুকে হাওয়া হয়ে গেলেন। 
এইভাবে সেই লোকটিকে ধোকা দিয়ে তিনি আবার সেই রাস্তায় ফিরে পোটলাটাকে রাস্তার মাঝখানে রেখে দিলেন। আর নিজে একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকলেন। 

এদিকে লোকটিও কিছুক্ষণ পরে সেখানে এসে হাজির তাকে আগের চেয়েও বেয়াহি দুঃখিত দেখাচ্ছিল। কিন্তু রাস্তায় তার পোটলাটি দেখার পর সে অনেক খুশি হলো। সে পোটলার উপর ঝাপিয়ে পড়লো। 

গাছের আড়াল থেকে মোল্লা সাহেব বেরিয়ে এসে বললেন, "দুঃখীকে শুখের সন্ধান দেওয়ার এও একটা উপায় পেলাম কি বলো ভায়া। " এবলে মোল্লা সাহেব চলে গেলেন। 

উপদেশ: দুঃখের পরে সুখ আসে। 

Please follow us on facebook and pinterest