বনে ছিলো একটা অহংকারী হরিণ। সে নিজেকে এতো সুন্দর বলে মনে করতো যে বারবার পুকুরে গিয়ে পানির উপর নিজের চেহারার প্রতিচ্ছবি দেখে খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতো। "কি দারুণ!  কি চমৎকার লাগে আমার শিংগুলো দেখতে! " হরিণটা নিজের বাকা শিং নিয়ে মনে মনে গর্ববোধ করলো। যদিও সে নিজের পায়ের গড়ন নিয়ে অস্বস্তি বোধ করতো। " কিভাবে আমি আরো সুন্দর হয়ে উঠতে চাই। " দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে হরিণ টা এসব ভাবতো মনে মনে। 
একদিন যখন সে পুকুরের জলে নিজের ছবি দেখতে মশগুল এমন সময় একটা কুকুরের ডাক শুনতে পেলো। সেটার লেলো শিকারী কুকুর তার কাছে ছুটে আসছে। ভিয়ে সে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দৌড়ে পালাতে লাগলো। 

বনের মধ্য দিয়ে পালাতে পালাতে নিচু একটা গাছের ডালে তার বড় বাকা শিং আটকে গেলো। বয়ে সে আরো জড়োসড়ো হয়ে পড়লো যখন সে দেখতে পেলো শিকারী কুকুর গুলো তার অনেক কাছে চলে এসেছে। সে বার বার চেষ্টা করল শিংগুলোকে গাছের ডাল থেকে ছাড়াতে। অবশ্য নিজের লম্বা পা দিয়ে ঠেলে গাছের ডালপালা থেকে শিংগুলোকে ছাড়াতে সক্ষম হলো কোনোমতে। 

শিকারী কুকুরগুলো ততক্ষণে তার খুব কাছা কাছি চলে এসেছে। এ অবশতায় নিজেকে বাঁচাতে এমন দ্রুত গতিতে দৌড়াতে লাগলো যে,  যা অতীতে সে কখনো করেনি। এখন হরিণটক বুঝতে পারলো বিপদ থেকে বাঁচার কাজে শিংয়ের চাইতে তার পাগুলো অনেক বেশি কাজের। তাই এরপর থেকে সে আর কখনো নিজের পা'কে অসুন্দর বা অপ্রয়োজনীয় মনে করেনি। 

উপদেশ : কাজে যা লাগে সেটাই সুন্দর ও দরকারী। 

Please follow us on facebook and pinterest