সময়টা ছিল প্রাচীন। অ্যান্ড্রোক্লিস নামক একজন ক্রীতদাস তার মনিবের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে পালাতে পালাতে বনে ঢুকে পরে এবং সে ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে ঘুরে বেড়ায়।

ঠিক কিছুক্ষন পর সে একটি সিংহের কান্নাকাটি ও আর্তনাদ শুনতে পান এবং মাঝে মাঝে ভয়ানক গর্জন ও করছিলো সিংহটা । আর যখন সিংহ টা উঠার চেষ্টা করলো, তখন সে দেখল সিংহ তার দিকে আসছে।

তাকে আক্রমণ করার পরিবর্তে এটি কান্নাকাটি করতে থাকে এবং অ্যান্ড্রোক্লিসের দিকে তাকাতে থাকে।সে দেখে যে সিংহটি তার ডান হাতটি ধরে রেখেছে, যা রক্তাক্ত হয়ে আছে এবং খুব ফুলে গেছে। অ্যান্ড্রোক্লিস দেখতে পেল যে সিংহের হাতে একটি বড় কাটা ঢুকেছে।

অ্যান্ড্রোক্লিস সাহস করে কাটাটি বের করে। এতে সিংহ টি ব্যাথা থেকে মুক্তি পায়। সে অ্যান্ড্রোক্লেসের সাথে গা ঘষে এবং দেখায় যে সে ব্যথা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ।

একদিন, অনেক সৈন্য জঙ্গলের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে অ্যান্ড্রোক্লেসকে খুজে পেল। তারা তাকে বন্দী করে শহরে ফিরিয়ে আনল, এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় কারণ সে তার মনিবের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।

 তখনকার সময় অপরাধীদের সিংহের কাছে নিক্ষেপ করে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হতো। তাই অ্যান্ড্রোক্লিসকেও সেভাবেই সিংহের কাছে নিক্ষেপ করা হয়।  কিন্তু যখন সিংহটি তার খাঁচা থেকে বের হয়ে অ্যান্ড্রোক্লেসের কাছে পৌঁছে, তখন সে  তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পরিবর্তে,  তার সাথে গা ঘষে। তখন অ্যান্ড্রোক্লেস বুঝতে পারে এটি সেই সিংহ যাকে সে সাহায্য করেছিল। সম্রাট এ ঘটনা দেখে  অ্যান্ড্রোক্লিসকে তার কাছে ডেকে পাঠালেন।

 তাই অ্যান্ড্রোক্লিস সম্রাটকে তার সাথে যা ঘটেছিল এবং কীভাবে সিংহটি কাঁটা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছিল তা সম্রাটকে বলে। তারপরে, সম্রাট অ্যান্ড্রোক্লেসকে ক্ষমা করে দেন এবং তার মালিককে তাকে মুক্তি আদেশ দেন। আর সিংহটিকে বনে  ছেড়ে দেওয়া হয়।

অনুবাদক : আদিলা নুর তাবাসসুম