রাকিব: এই রে! দারওয়ান কাকু চলে আসলো। পালা! ইমন তাড়াতাড়ি নাম গাছ থেকে। দারওয়ান কাকু ধরে পেলবে।
বকুল : হ্যাঁ নাম তাড়াতাড়ি।
[ ইমন গাছ থেকে নামছিলো। ঠিক মাঝে এসেই ডাল থেকে পা পিছলে ইমন মাটিতে পড়ে গেলো। হাতের চামড়া চিড়ে গেলো অনেকটা।রাকিব বকুল ওর কাছে দৌড়ে গেলো। আমায়া ও গেলো। ]
রাকিব : ইস ইমন তোর তো অনেকটা কেটে গেলো।
[ততক্ষণে দারওয়ান ওদের কাছে চলে এসেছে]
দারওয়ান : এই চল তোরা। আম চুরি করা হইচ্ছে। চল স্যার এর রুমে।
আমায়া : দারওয়ান কাকু ওদের কিছু বলো না। ওদের আমি চিনি। ওরা আমার বন্ধু। আমিই ওদের আম পাড়তে বলেছিলাম।
দারওয়ান : ও এই কথা। আমাকে কইতেন আপা আমি পারি দিতাম।
আমায়া : আপনি পাহারা দিচ্ছেন বলে আপনাকে আর বলতে চাইনি। আচ্ছা আপনি এখন যান।
[ দারওয়ান চলে গেলো। বলতে বলতে বৃষ্টিও থেমে গেলো ]
আমায়া : কিছুদিন পরেই কাটা তা ঠিক হয়ে যাবে। আচ্ছা তোমাদের একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?
বকুল : হ্যাঁ বল।
আমায়া : আচ্ছা তোমরা এখানে আম কেন চুরি করছিলে?
বকুল : আম কিনতে অনেক টাকা লাগে কিন্তু আমাদের কাছে ওই টাকা নেই। বাবা মা খুব কষ্ট করে আমাদের দু বেলা খাবার, পড়ালেখার খরচ যোগাড় করেন।
আমায়া : তোমাদের এই সমস্যার সমাধান হয়তো আমার কাছে আছে। তোমারা চাকরি করতে পারো।
ইমন : কে আমাদের চাকরি দেবে? আর আমাদের মা বাবাও মানবে না। বলবে পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটবে।
আমায়া : আমি দেব। আর আমি যে কাজ দিব তাতে তোমাদের পড়ালেখার কোনো ক্ষতিই হবে না।
রাকিব : কাজটা কি?
চলবে,,,,
লেখক : আদিলা নুর তাবাসসুম।
আপনি কি মনে করেন ওরা কি রাজি হবে?
[ নিচে কমেন্ট করে জানান ]
0 Comments