পর্ব ০২
[ কলেজের ভেতর ইমন ]
ইমন: অবশেষে ঢুকলাম। যাই এবার পেছনের গেট টা খুলে আসি। দেখিতো দারওয়ান কাকু আশে পাশে আছে নাকি।
[ ইমন খেয়াল করল একটা মেয়ে আম গাছের নিচে বসে আছে ছাতা নিয়ে। ইমন বিষয়টাকে খুব একটা পাত্তা না দিয়েই কলেজের পেছনের গেটটা খুলতে গেলো। সৌভাগ্যক্রমে পেছনের গেটটা তালা দেওয়া ছিল না। ইমন গেটটা খুলে দেয় আর রাকিব আর বকুল কলেজে ঢুকে পড়ে ]
রাকিব : ভাগ্যিস গেটটা তালা দেওয়া ছিলো না। নাইলে কি ঢুকতে পারতাম।
বকুল: বাহ! আসলেই কলেজটা বেশ বড়।ঠিক যেমন শুনেছিলাম।
রাকিব : সত্যিই তাই!আমরা একটু ঘুরে দেখি।
বকুল: হ্যাঁ চল।
ইমন:এই দাঁড়া দাঁড়া! মামা বাড়ী ঘুরতে এসেছিস? ভুলে গেছিস, আমরা এখানে আম নিতে এসেছি। আর এই বৃষ্টিতে তোরা কলেজটা ঘুরবি? দারোয়ান দেখলে দিবে এক ধোলাই।
বকুল : এভাবে বলছিস কেন? আম তো সব সময়ই নি আজ না হয় কলেজ টা দেখলাম।
ইমন : না, না। আগে আম তারপর কলেজ দেখা। চল।
রাকিব : আচ্ছা চল। আয় বকুল তাড়াতাড়ি আম টা নিয়ে ফেলি।
[ ওরা আম গাছের তলায় পৌছালো। ইমন আম গাছে উঠলো আম পাড়তে। আর রাকিব ও বকুল নিচে দাড়িয়ে থাকলো আমগুলো কুড়াতে। হঠাৎ বকুল খেয়াল করলো বাগানের সামনে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা মেয়ে ]
বকুল : এই রাকিব, এ মেয়ে টা কে রে?
রাকিব : কোন মেয়ে টা?
বকুল : ঐ যে বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে একটা ডায়েরি আছে। ইমন কে জিজ্ঞাসা করি ও জানতে পারে।
[বকুল ইমন কে জিজ্ঞাসা করল সে মেয়েটিকে চিনে নাকি ]
ইমন : না আমি ওকে চিনি না। আজ প্রথম দেখলাম। তোরা তাড়াতাড়ি আমি গুলো নেয়।
[ কিছুক্ষন পর বকুল দেখলো অচেনা মেয়েটি ওদের দিকে আসছে। ]
বকুল : এই রাকিব দেখ মেয়েটা আমাদেরদিকে আসছে।
[ রাকিব মেয়েটাকে আসতে খেয়াল করলো। ততক্ষণে মেয়েটা চলে আসলো ]
{ নোট : অচেনা মেয়েটির নাম "আমায়া "}
আমায়া : তোমরা কারা? এখানে কি করছো? তোমাদের কি আমার বাবা এখানে ডেকেছে?
[বকুল আর রাকিব দুজন দুজনের দিকে তাকায়। তার কি বলবে বুঝতে পারে না। হঠাৎ পেছন থেকে দারোয়ান হাক দেয় আর দৌড়াতে দৌড়াতে ওদের দিকে আসে ]
চলবে,,,,
লেখক : আদিলা নুর তাবাসসুম
বি : দ্র :: এখানে (' ফুলের পাপড়ি ' গল্পে) সকল চরিত্র কাল্পনিক। কাউকে উদ্দ্যশ্য করে কিছু লিখা হয় নি।
0 Comments