পর্ব ০১
৪ মে ২০১৭, গ্রীষ্ম কাল। ঝড়ের মৌসুম। ঝিম ঝিম করে বৃষ্টি পড়ছে। আমগাছের পাতাগুলো সতেজ হয়ে যাচ্ছে। ধুয়ে যাচ্ছে পাতায় থাকা ধুলোগুলো। ব্যস্ত রাস্তা গাড়িগুলো স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে। সেই রাস্তার ফুটপাতের উপর ইমন,রাকিব আর বকুল দৌড়ে যাচ্ছিল কলেজের দিকে। কলেজের দেয়াল বেয়ে বড় আম গাছ টার নিচে আম কুড়াতে।
রাকিব : সত্যি ভাই! কলেজের আম গাছটার আমের মতো স্বাদ আর কোনো আমে নেই। কি মিষ্টি! অবশ্য কলেজের দেয়াল গুলোও বা কম কি। ইয়া বড় বড়।
বকুল : তা আর বলতে। তবে ইমন কিন্তু ৫ মিনিটে দেয়াল বেয়ে আম নিয়ে আসে। আর দারওয়ান টের ও পায় না।
রাকিব : হ্যাঁ তা ঠিক বটেই। ইমন তোর মনে আছে,আজ কিন্তু আমরাও কলেজে ঢুকবো?
ইমন : হ্যাঁ আছে। কিন্তু কলেজের পিছনের গেট টা যদি তালা দেওয়া থাকে তবে আমার কোনো দোষ নেই।
রাকিব :আচ্ছা আর বলতে হবে না। এখন তাড়াতাড়ি চল। বৃষ্টিতে তো ভিজে গা একাকার। সাথে ছাতে নিয়েও লাভ হলো না। আরো এক ঝামেলা মই টা।
[ ইমন, রাকিব আর বকুল তিন বন্ধু। ওরা একই বস্তিতেই থাকে। ওদের আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। ইমন আর রাকিবের বাবা রাজমিস্ত্রী আর বকুলের বাবা রিকশা চালান। ওরা বস্তি থেকে কিছুটা দূরেই একটা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। বেশ দূরন্ত ওরা। সারাদিন এটা সেটা করে দিন যায়।গ্রীষ্মের সময় ঝড় হলেই আম কুড়ানি শুরু। আজও ওরা কলেজে যাচ্ছে আম নিতে। ]
[ ওরা কলেজের দেয়ালে মই টা খাড়া করে রেখে ইমন কে মই বেয়ে উঠতে সাহায্য করছে। ]
রাকিব: মইটা ঠিক করে ধর। নাইলে পড়ে হাড় ভেঙে যাবে। বকুল ঠিকভাবে ধর।
বকুল: হ্যাঁ ধরেছি। উফ কি জ্বালা। বৃষ্টিতে পুরো গা ভিজে গেলো।
[ ইমন মুহুর্তের মধ্যেই দেয়াল বেয়ে কলেজে ঢুকে গেলো। সাথে সাথেই রাকিব আর বকুল মই টা সরিয়ে ফেলল আর কলেজের পেছনের গেটার দিকে গেলো ]
বকুল: জানিস আমি শুনেছি কলেজের ভেতরটা নাকি অনেক সুন্দর অনেক বড় আর ফুলের বাগান ও আছে।
রাকিব : থাকবেই তো। আমার খুব ইচ্ছা একদিন আমিও এ কলেজে পড়ব। এখানে দেশের কত মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা পড়তে আসে। আমরা তিনজন ই একদিন এখানে পড়বো তুই দেখে নিস।
বকুল : পড়তে পারলে তো ভালই হয়। এখন ভাবছি ইমন এখনও এলো না কেন।
চলবে,,,,
লেখক : আদিলা নুর তাবাসসুম
বি : দ্র :: এখানে (' ফুলের পাপড়ি ' গল্পে) সকল চরিত্র কাল্পনিক। কাউকে উদ্দ্যশ্য করে কিছু লিখা হয় নি।
0 Comments