বাবা : চেষ্টা করবো এ সপ্তাহের মধ্যেই ব্যবস্থা করতে। 
ফারহান : তার মানে আমরা এ সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশ যাচ্ছি।  কি মজা!! 
মা : আচ্ছা এখন অনেক কথা হলো। এবার নাস্তা টা করে ফেলা যাক। 
ফারহান : হ্যাঁ!  আমার প্রিয় স্যান্ডউইচ! 

[ সবাই নাস্তা করে ফেলল। রাফি আর ফারহান তাদের ঘরে গিয়ে কথা বলছে ] 

ফারহান : তাইলে ভাইয়া আমরাতো এ সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশ যাবো! 
রাফি: হ্যাঁ! বাংলাদেশে গিয়ে কি কি করবো তার একটা পরিকল্পনা বানাতে হবে। 
ফারহান : হ্যাঁ!  তাইলে শুরু করি। 
রাফি: আমি ভাবি আর তুইও ভাব। 
ফারহান: ভাববো?  কিন্তু ভাইয়া আমিতো জানিই না যে বাংলাদেশে কি আছে। ওখানে সবজায়গা কেমন। তাইলে আমরা প্ল্যান করবো কিভাবে? 
রাফি: তাইতো। চল দাদিকেই জিজ্ঞেস করি। 
ফারহান: তাই ভালো হবে। 

[ রাফি আর ফারহান তাড়াতাড়ি দাদুর কাছে যায় ]

রাফি: দাদি, আমাদের কিছু জিজ্ঞেস করার আছে। 
দাদি: হ্যাঁ। তোমরা বলতে পারো। 
ফারহান : দাদি, আমাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো কিছু বলো না। 
রাফি: হ্যাঁ দাদি। যেমন ওখানে মানুষরা কেমন, ওরা কি খায়, ওরা কি খেলে,  আরও অনেক কিছু। 
দাদি: হ্যাঁ, হ্যাঁ!  সব বলছি। আমি খুশি হবো যদি তোমরা তা জানতে আগ্রহী হও। এসো, বিছানায় বসো। 

[ ফারহান আর রাফি বিছানায় বসে পড়লো। তারা মনোযোগ দিয়ে দাদির কথা শুনতে থাকলো] 

দাদি: আমি তাইলে আমার ছোট বেলার কাটানো দিন গুলো দিয়ে তোমাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে বলি। এখন তো গ্রীষ্মের সময়। এখানে যেমন তোমরা গ্রীষ্মের রূপ দেখছো বাংলাদেশে এমন নয়। ওখানে গ্রীষ্ম মানেই কালবৈশাখী ঝড় আর গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আম কুড়ানি নিয়ে তোড়জোড় শুরু। যখন কালবৈশাখী ঝড় হয় তখন ঝড়ের প্রবল হাওয়া গাছ থেকে পাকা আম নিচে পড়ে আর ছেলে মেয়েরা সে আম কুড়িয়ে নেয়। সে কি স্বাদের আম! এখন তো আমি সে আমের স্বাদই পাই না। 

ফারহান : দাদি, তুমিও কি আম কুড়াতে?  
দাদি : হ্যাঁ!  আমিতো গ্রামেই বড় হয়েছি। আমি কি তোমাদের বাবা ও তো আম কুড়াতো। তবে শুধু কুড়াতো না কাচা আম চুরিও করতো। আরে সে এক কাহিনি, আম চুরি করতে গিয়ে কামালতো একবার ধরা পড়ে গিয়েছিলো। তারপর মালিকতো তাকে দিল খুব করব বকা। তারপর থেকে কামাল আর ঐ বাগান থেকে আম চুরি করতে গেলো না ( হাসতে  হাসতে) 

[ দাদির কথা শুনে রাফি আর ফারহান হাসতে শুরু করলো। ]

রাফি : আরো বলো না দাদি। 
দাদি: আরও অনেক কিছু আছে গ্রামে। গ্রামে ছেলেমেয়েরা একসাথে মাছ ধরে খালে কিংবা নদীতে। একসাথে ঘুড়ি উড়ায়। লাটিম ঘুরায়। 
ফারহান : আচ্ছা দাদি লাটিম কি?  
দাদি: লাটিম একটা কাঠের তৈরি খেলনা যাকে রশি দিয়ে বেধে ঘুরানো হয়। বাংলাদেশে গেলে প্রচুর দেখবে। 
ফারহান : দাদি আমিও ঘুরাবো। আমাকে শিখিয়ে দেবে? 
দাদি: অবশ্যই! আমি ছোটবেলায় অনেক লাটিম ঘুরিয়েছি। 
রাফি: আমিও শিখবো দাদি।
দাদি : তোমাদের দুজনকেই শিখাবো। 


চলবে,,,, 
লেখক : কলম (ছদ্মনাম) 


বি : দ্র :: এখানে (' শিকড় ' গল্পে)  সকল চরিত্র কাল্পনিক। কাউকে উদ্দ্যশ্য করে কিছু লিখা হয় নি।