ফারহান তাড়াতাড়ি তার দাদির রুমে দৌড়ে গেল। সে রুমে ডুকে দেখল দাদি তার বিছানায় বসে আছেন। ফারহান কে দেখেই  জিজ্ঞেস করল   দাদি : ফারহান, কি হয়েছে?  হঠাৎ আজকে এতো ভোরে উঠে পড়লে? 

ফারহান : দাদি আজকে কি তোমার মনে নেয়?  
দাদি : কি আজ?  
ফারহান : আজকে তোমার জন্মদিন। শুভজন্মদিন দাদি। 
দাদি : হ্যাঁ! তাইতো। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ফারহান। তুমি কি আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলে?  
ফারহান : হ্যাঁ। তবে শুধু শুভেচ্ছা জানাতেই নয় উপহার দিতেও। 
রাফিও দাদির ঘরে পৌঁছালো।  
রাফি : দাদি শুভজন্মদিন। 
দাদি : ধন্যবাদ তোমাকে রাফি। 
রাফি : ফারহান, দাদিকে উপহারের কথা বলেছিস? 
ফারহান : না। এখনই বলছি। দাদি তোমার উপহারের কথা শুনলে তুমি অনেক খুশি হবে। 
দাদি : তা কি উপহার শুনি?
ফারহান : আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ যাবো। 
দাদি : সত্যি! নাকি তোমরা মজা করছো?
ফারহান : না দাদি সত্যি।
রাফি: হ্যাঁ দাদি আমরা যাচ্ছি। 
ফারহান : জানো দাদি আমি আর ভাইয়া মিলে বাবা মা কে রাজি করিয়েছি। তোমার জন্মদিন বলে। তুমি কি খুশি? 
দাদি : অনেক খুশি। অনেক দিন দেশে যাই নি। আমার খুব ইচ্ছে হয় বাড়িতে উঠানে বসে আবার পিঠাপুলি বানাতে। সবাই মিলে উঠোনে বসে রোদ পোহাতে। 
রাফি : দাদি, পিঠাপুলি কি?  
দাদি : এটা একধরনের খাবার। অনেক রকমের পিঠা আছে। ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, চিতই পিঠা আরো অনেক গ্রামে শীতকালে ঘরে ঘরে এমন পিঠা বানানো হয়। 
ফারহান : দাদি ওগুলো খেতে কি অনেক মজা? 
দাদি : অবশ্যই অনেক সুস্বাদু। তাছারা খেজুরের রসও কম নয়। আহা তার কি সুগন্ধ!  
ফারহান : খেজুরের রস?  ওটা আবার কি? 
দাদি : গ্রামে কৃষকরা শীতকালে খেজুর গাছের কিছু অংশ কেটে এ রস নেন। পরে সেগুলো চুলায় জাল দিয়ে খাওয়া হয়। 
ফারহান : দাদি, বাংলাদেশে শীত কবে আসে? 
দাদি : এখন এখানে গ্রীষ্ম কাল তার মানে বাংলাদেশে আখন শীতকাল হওয়ার কথা। 
রাফি : তার মানে আমরা যদি এখন যাই তাইলে আমরাও পিঠা, খেজুর রস খেতে পারব। 
ফারহান : হ্যাঁ! সেটা হলে দারুন হবে! 
দাদি : এখন তোমরা ঘুমাতে যাও। নিশ্চয়ই তোমাদের ঘুম পুড়েনি। 
ফারহান : হ্যাঁ দাদি। আমরা এখনই যাচ্ছি। 
রাফি আর ফারহান তাদের ঘরে চলে যায়। 

সকাল ৮ টা,,,, 
রাফি, ফারহান, বাবা, মা আর দাদি সকালের খাবার খেতে টেবিলে বসেছে। 
বাবা : মা, শুভ জন্মদিন আপনার উপহার শুনলে আপনি অনেক খুশি হবেন। 
দাদি : তোমাকে ধন্যবাদ তবে আমার উপহার কি আমি জেনে গেছি। 
বাবা : আপনি কি করে জানলেন? 
ফারহান : আমি আর ভাইয়া সকালে উঠেই দাদিকে বলেছি। 
বাবা : ওহ। 
রাফি : বাবা আমরা কবে বাংলাদেশে যাবো?   


চলবে,,,, 
লেখক : কলম (ছদ্মনাম) 


বি : দ্র :: এখানে (' শিকড় ' গল্পে)  সকল চরিত্র কাল্পনিক। কাউকে উদ্দ্যশ্য করে কিছু লিখা হয় নি।