রাফির বাবা ফোনে কথা বলতে বারান্দার দিকে গেলেন। কিছুক্ষন পর ফিরে এলেন আর আবার খাবার টেবিলে বসে পড়লেন। রাফির মা (রাবেয়া আক্তার) তাকে জিজ্ঞেস করলেন : কে ফোন করেছিলো?  

বাবা : রফিক ভাই ফোন করেছিল। বাড়ির ব্যাপার এ কিছু কথা বলার ছিল। 

মা : তা কি বললেন?  
বাবা : বলল বাড়ির জানালার মেরামত করতে হবে। এর জন্য টাকা দরকার। আর আমরা দেশে কবে যাবো তাও জিজ্ঞেস করলো।  অনেক দিন দেশে যাই নি। অনেক মনে পড়ছে বাড়ির কথা। এখানেও ব্যবসার কাজে সময় হয় না। 

রাফি আর ফারহান মনযোগ   দিয়ে বাবার কথা শুনছে। হঠাৎ রাফির মন চাইলো সেও বাংলাদেশে যেতে চায়। সেই যে একবার ছোট বেলায় দেখেছিলো তারপর আর তার যাওয়া হয় নি। আর ফারহানের ও মন চাইলো একবার তার দেশটা দেখার ও নতুন জায়গা নতুন বাড়ি।ফারহানের  যখন মাত্র ১ বছর বয়স তখন থেকে সে অস্ট্রেলিয়ায়। 
ফারহান আর একক্ষণ ও অপেক্ষা না করে বলেই ফেলল: বাবা, আমি বাড়ি দেখতে যাবো। আমাদের গ্রীষ্মের ছুটি ও চলছে। চল না বাবা একবার  দেশে যাই। আমিতো কোনোদিনই বাংলাদেশে যাই নি। আর দাদিও অনেক খুশি হবেন বাংলাদেশে যাওয়ার খবর শুনলে। কাল তো দাদির জন্মদিন। আর ভাইয়ার ও অনেক সুবিধা হবে। 
বাবা: মা অবশ্য অনেক খুশি হবেন। মায়ের জন্মদিনে এটাই মায়ের জন্য বিশেষ উপহার হবে। তবে রাফির আবার কি সুবিধা হবে?  
ফারহান : ভাইয়ার গ্রীষ্মের ছুটিতে দেওয়া বাড়িরকাজ ভাইয়াকে এক্তা নতুন জায়গার কথা লিখতে বলেছে। কিন্তু ভাইয়া ভাবতেই পারছে না যে কি নিয়ে লিখবে। 
রাফি : হ্যাঁ তাইতো এ কথা আমার মাথায় কেন আসলো না। বাবা চলো না। 
বাবা : আচ্ছা আমি দেখছি। এবার খুশি? 
ফারহান আর রাফি খুশিতে চিৎকারে দিয়ে বলল: অনেক! 

খাবার খাওয়া শেষে রাফি আর ফারহান নিজদের রুমে চলে গেলো। 

ফারহান : কাল সকালেই দাদি কে খবর টা দিবো।দাদি ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথেই। আমি দাদিকে প্রথম উপহার দিব।
রাফি : হ্যাঁ, দাদি অনেক খুশি হবেন। এখন ঘুমিয়ে পড়। নাইলে কালকে কেমনে ঘুম থেকে উঠবি? দাদি তো সেই খুব ভোরে উঠেন। 
ফারহান : হ্যাঁ। তাই তো। আমি তাড়াতাড়ি শুতে যাই। 
রাফি আর ফারহান বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লো। 

পরেরদিন,,,,,
সকাল ৫টা। এলার্ম বেজে উঠল। এলার্ম এর শব্দে রাফির ঘুম ভেঙে গেলো। রাফি টের পেয়েই ফারহান কে ডাকলো। 
রাফি : ফারহান উঠ। দাদি কে বলবি না। কালকে রাতে তো অনেক বলছিলি দাদিকে সকাল হলেই বলবি। 
ফারহান : ভাইয়া, আরেকটু ঘুমাই না। 
রাফি : ওহ, ঘুমা তাইলে। মনে আছেতো আজকে দাদির জন্মদিন।
একথা শুনেই ফারহান তাড়াতাড়ি উঠে পড়লো। 
ফারহান : হ্যাঁ!  তাই তো। আমার তো সবার প্রথমে দাদিকে উপহার দেওয়ার কথা। 



চলবে,,,, 
লেখক : কলম (ছদ্মনাম) 


বি : দ্র :: এখানে (' শিকড় ' গল্পে)  সকল চরিত্র কাল্পনিক। কাউকে উদ্দ্যশ্য করে কিছু লিখা হয় নি।