রাফি অস্ট্রেলিয়ায় তার দাদি, মা, বাবা আর তার ছোট্ট ভাইয়ের সাথে থাকে। কিন্তু রাফির বাড়ি বাংলাদেশ। রাফি যখন খুব ছোট তখন তার দাদি আর তার বাবা মা অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন আর তখন থেকেই তারা এ দেশে।
একদিনের কথা।,,,, গ্রীষ্মের সময়। রাফি আর তার ছোট ভাই ফারহান তাদের বাড়ির সামনের মাঠে খেলা করছে সাথে তাদের কিছু বন্ধুও আছে। ফারহান দৌড়াতে দৌড়াতে কাহিল হয়ে মাঠের এককোণে গাছের নীচে বসে পড়ে। রাফি আর তাকে দেখে ছুটে আসে তার দিকে।
রাফি : কিরে, বসে পড়লি যে? আর খেলবি না?
ফারহান : না ভাইয়া আমি আর পারছি না। চল বাড়ি যাই।
রাফি : আচ্ছা চল তাইলে।
রাফি তার বন্ধুদের বিদায় দিয়ে ফারহানের সাথে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ি ফিরেই -
রাফি : মা, আমরা এসে গেছি।
মা : হাত মুখ ধুয়ে নে। দুপুরের খাবার হয়ে গেছে।
ফারহান : ঠিক আছে মা।
রাফি আর ফারহান হাতমুখ ধুয়ে খাবার টেবিলে বসে খেতে শুরু করল। খাবার খাওয়া শেষে তারা তাদের কক্ষে চলে গেলো।
রাফি তার পড়ার টেবিলে বসে কিছু একটা ভাবছে। ফারহান তার টেবিলে বসে তার স্কুলের গ্রীষ্মের ছুটিতে দেওয়া বাড়ির কাজ করছে।
ফারহান রাফিকে চিন্তা করতে দেখে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল- ভাইয়া, কি ভাবছো?
রাফি : হুম... ভাবছি কি লিখব। স্কুলের গ্রীষ্মের ছুটিতে দেওয়া বাড়িরকাজ করছিলাম। কিন্তু বুঝতেই পারছি না কিভাবে কাজটা শেষ করব।
ফারহান : কেন ভাইয়া? কি দিয়েছে বাড়ির কাজ?
রাফি : আর বলিস না। আগের বারের মত এবার ও কোনো নতুন জায়গা সম্বন্ধে কিছু লিখতে বলেছে। আগের বারতো এ জায়গা সম্বন্ধেই লিখেছিলাম কিন্তু এবার কি লিখব।
ফারহান : এবার ও একই বাড়ির কাজ।
রাফি : হ্যাঁ রে। তোর কি কাজ দিয়েছে রে?
ফারহান : ওহ! আমার,, একটা ছবি আঁকতে বলেছে। আমি একেও পেলেছি।
রাফি : তা কি এঁকেছিস দেখা।
ফারহান ওর টেবিল থেকে খাতা এনে রাফিকে দেখালো।
রাফি : বাহ! বেশ সুন্দর হয়েছে তো। তুইতো আমাদের খেলার মাঠের পাশের গাছটার ছবি একেছিস তাই না?
ফারহান : হ্যাঁ।
রাফি : তোর তো হিয়ে গেল কিন্তু আমার কি হবে,,,
রাফি, ফারহান আর তাদের বাবা মা একসাথে রাতের খাবার খেতে বসেছে।
বাবা : তো তোমাদের তো আজ থেকে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু। তাই না?
রাফি : হ্যাঁ। বাবা
হঠাৎ বাবার ফোন বেজে উঠল। ফোন করেছে কে রাফি দেখার চেষ্টা করল। কিন্তু দেখতে পারলো না, তার আগেই রাফির বাবা ( কামাল হোসেন) ফোন ধরে ফেলল।
চলবে,,,,
লেখক : কলম (ছদ্মনাম)
বি : দ্র :: এখানে (' শিকড় ' গল্পে) সকল চরিত্র কাল্পনিক। কাউকে উদ্দ্যশ্য করে কিছু লিখা হয় নি।
0 Comments