এক সময় এক বন ছিল। এই বনে প্রাণিদের খাদ্যের অভাব ছিল। সেখানে একটি রাস্তা ছিল যা বনের মাঝখানে ছিল। এই রাস্তাটি বেশিরভাগ সময় ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করতেন। যারা বাণিজ্য এবং মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করতেন।
একদিন রাস্তা দিয়ে বনের মধ্যে পনিরের টুকরো বোঝাই একটি গাড়ি যাচ্ছিল । বনের মাঝখানে চলতে চলতে এক টুকরো পনির রাস্তার মাঝখানে পড়ে গেল এবং ব্যবসায়ী তা লক্ষ্য করলেন না।তিনি এটি ফেলে রেখে চলে গেল, তবে এই রাস্তার কাছে একটি কাক উড়ছিল। সে খাবারের সন্ধান করছিল। দীর্ঘক্ষন সন্ধানের পর সে পনিরের টুকরোটি লক্ষ্য করল। সে তার ঠোঁট দিয়ে পনিরের টুকরোটি নিল।
কাক একটি বড় গাছ খুঁজে পেল। সে গাছে বসে পড়ল আর চারপাশ দেখতে লাগলো। দেখল অন্য কেউ আছে নাকি। কাকে মনে করেছিলো যে কেউই নেই, কিন্তু তার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ছিল।
গাছের পাশে একটি ধূর্ত শেয়াল ছিল, এবং এই শিয়ালটি খুব দুর্বল ছিল এবং একই সাথে সে অলস ছিল।সে কাক কে দেখতে পেয়েই ভাবল - এ কাকের মুখেতো পনির আছে আমি যদি এটা নিতে পারি তাইলে ভালোই হবে আমার খাওয়া হয়ে যাবে।
গাছটি অনেক উঁচু এবং নিশ্চিতভাবে এই দুর্বল শিয়ালটি কাকের কাছে পৌঁছাতে পারবে না।তাই
শিয়াল এমন একটি কৌশল ভেবেছিল যেভাবে সে পনির পেতে সক্ষম হবে।
শেয়াল কাককে ডেকে বলল: হে কাক! আমি শুনেছি যে তোমার কণ্ঠস্বর সবচেয়ে বেশি। সুন্দর আওয়াজ যা সারা বনে শোনা যায়, এটা কি ঠিক?
কাক অবাক হয়ে তার দিকে তাকালো, কিন্তু তার সম্পর্কে এই ধরনের কথা শুনে সে অনেক আনন্দিত হলো আর সে ভুলেই গেলো যে সে তার মুখে কী বহন করছে। সে বলে উঠল - কা! কা! হ্যাঁ আমার গলা অনেক সুন্দর।
এটি বলার সাথে সাথেই কাকের মুখ থেকে পনির পড়ে গেলো আর শিয়াল সেটি নিচে থেকে তুলে নিল। শিয়াল দৌড়ে পনির টা নিয়ে চলে গেলো
শেয়াল দৌড়ানোর সময় কাকের দিকে ফিরে বলল: আহ! এত বোকা। তোমাকে যা বলা হয়েছে তা তুমি বিশ্বাস করো।
কাক খাবার হারানোর ফলে বেশ কষ্ট পেলো। সে আবার খাবারের সন্ধান করতে লাগলো।
অনুবাদক: আদিলা নুর তাবাসসুম
0 Comments