এটি ছিল শরতকাল ।বনের সব গাছ থেকে সব পাতা ঝরে গেছে। একটি গাছের মাথায় শুধু একটা আপেল ঝুলে ছিল ।
এই শরতের সময় একটি খরগোশ বনের মধ্য দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছিল। খরগোশটি গাছের আপেল দেখতে পেল। সে আপেলটি খেতে চেয়েছিল কিন্তু সে জান্তো না আপেলটি পর্যন্ত কিভাবে পৌঁছাবে।খরগোশটি খেয়াল করল একটি কাক গাছে বসে আছে।
সে কাককে ডাকলো - ও কাক ভাই শুনছো।
কাক তার ডাক শুনতে পেয়ে বলল- হ্যাঁ বলো।কি হয়েছে খরগোশ ভাই?
খরগোশ বলল- শুনো না তুমি কি আমাকে ঐ যে আপেলটা আছে ওটা এনে দিতে পারবে?
কাক ভালো করে গাছটা দেখলো আর আপেলটা খুজে পেলো কিন্তু আপেলটা দেখেই কাকের খুব লোভ হলো আর সে নিজেই আপেলটা খেতে চাইল।
সে খরগোশ কে বলল- হ্যাঁ আমি দেখতে পেয়েছি কিন্তু এটা আমি আর তোমাকে দিবো না। এটা এখন আমার।
এ বলে কাক আপেলটা গাছ থেকে নিতে গেলো। কিন্তু আপেলটা ভারী হওয়ায় তার মুখ থেকে আপেলটা পড়ে গেলো নিচে।
এটি দেখে খরগোশটা বেশ খুশি হলো আর সে দৌড়ে গেলো আপেলটা ধরতে কিন্তু সে আপেলটা ধরতে পারলো না। আপেলটা গাছের নিচে শুয়ে থাকা একটা সজারুর কাটার উপর আটকে গেলো। সজারুটি জেগে গেলো। আর দেখলো একটি খরগোশ তার সামনে দাঁড়িয়ে।
খরগোশ তাকে বলল- শুনো সজারু ভাই। আমাকে আমার আপেলটা দিয়ে দাও যেটা গাছ থেকে পরে তোমার কাটায় আটকেছে।
সজারু দেখলো আসলেই তার কাটায় একটি আটকে আছে। তার আপেলটা দেখে লোভ হলো এবং সে খরগোশকে বলল- এ আপেলটা আমি ধরেছি তাই এটা এখন আমার।
ঐদিকে কাক ও নিচে নেমে গেলো আর বলল এটা আমার। খরগোশ বলল না এটা আমি আগে দেখেছি তাই এটা আমার। তারা তিনজন ঝগড়া করতে লাগলো।
একটা ভাল্লুক তাদের ঝগড়া করতে দেখলো আর তাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করল - কি হয়েছে? ঝগড়া করছ কেন?
সজারু বলল- আমরা এ আপেলের আসল হকদার কে তা নিয়ে ঝগড়া করছি।
ভাল্লুক বলল- আচ্ছা আমাকে সব ঘটনা খুলে বলো। আমি সমাধা করছি।
তারা ভাল্লুককে সব খুলে বলল।
তারপর ভাল্লুক বলল- আচ্ছা এ আপেলকে তিন ভাগে ভাগ করো আর এক ভাগ খরগোশকে দাও কারন সে আগে আপেলটা দেখেছে। আর আরেক ভাগ কাককে কারন সে গাছ থেকে আপেলটা পেড়েছে। আর শেষ ভাগ সজারু নিবে কারন সে আপেলটা ধরেছে।
ভাল্লুকের কথা শুনে তারা খুশি হলো। আর সজারু আপেলটা চার ভাগে ভাগ করল। এক ভাগ ভাল্লুককে দিল আর বলল- এটা তোমার জন্য কারন তুমি আমাদের ঝগড়া থামিয়েছ।
ভাল্লুক আপেল পেয়ে অনেক খুশি হলো।
তারা তিন জন আপেল ভাগাভাগি করে খেলো।
অনুবাদক : আদিলা নুর তাবাসসুম
0 Comments