একটি শহরে নেন্সি নামে একটি মেয়ে ও তার মা এক সাথে থাকত । একবার নেন্সি তার জন্মদিনে একটি ফুলের গাছ উপহার পেয়েছিল। নেন্সি সেটা তার রুমের জানালার পাশে রাখল।নেন্সির ফুল গাছটি পছন্দ হলেও নেন্সির মার সেটি একদমই পছন্দ হল না।
নেন্সির মা সেটি দেখেই বলল- কি কুৎসিত গাছ!পাতাগুলি জিহ্বার মতো, এমনকি এ গাছে কাঁটাও আছে । এটি সম্ভবত বিষাক্ত। আমি এটি আমার বাসায় রাখব না । নেন্সি এখনই তুমি এ গাছটি ফেলে আসবে।
কিন্তু, নেন্সি গাছটি ফেলতে চাইলনা। সে বলল- আমি নিজে গাছটির খেয়াল রাখব। হয়তো তার ফুলগুলো সুন্দর হবে।
অনেক দিন গেল,,,
ফুল গাছটি বড় হয়ে গেল, তবে কোনো ফুলই ফুটছিল না। এ অবস্থা দেখে নেন্সির মায়ের মনে আরও সন্দেহ হল। সে নেন্সিকে জোর করছিল এটি পেলে দিতে কিন্তু নেন্সি কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না।
একদিন নেন্সি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন শে খুব ভয় পেয়েছিলএই ভেবে যে তার মা ফুল গাছটি ফেলে দেবে বা জল দেবে না এবং এটি শুকিয়ে যাবে। কিন্তু নেন্সির মা তখন তাকে নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল তাই তিনি গাছটির কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলেন।
বেশকয়েকদিন ধরেই নেন্সি অসুস্থ থাকায় নেন্সির মা ডাক্তার ডাকলেন। ডাক্তার নেন্সিকে পরিক্ষা করে বললেন-নেন্সির অবস্থা ঠিক করতে একটি বিশেষ গাছের পাতা দরকার। যার পাতাগুল বেশ লম্বা এবং দেহ কাঁটাযুক্ত।
নেন্সি ডাক্তারের দেওয়া বর্ণনা শুনে অবাক হয়ে বলল - মা!এটাতো আমার ফুলের গাছের মত শুনাচ্ছে! মা, তুমি আমার ফুলের গাছটি নিয়ে এস আর ডাক্তারকে দেখাও। হয়ত বা এটাই সেই গাছ।
নেন্সির মা গাছটি আনল আর ডাক্তারকে দেখাল। গাছটি দেখে ডাক্তার বললেন - হ্যাঁ! এইতো সেই গাছ। মেম, আপনি নেন্সিকে এটির পাতা রান্না করে খাওয়ন। ১ সপ্তাহ নেন্সি খাওয়ানোর পর নেন্সি সুস্থ হয়ে যাবে।
এ কথা শুনে নেন্সির মা কিছুটা অপরাধ বোধ করছিলেন কারন তিনি এ গাছটিকে কুৎসিত ভেবে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন। তারপর ডাক্তারের নির্দেশমত নেন্সির মা নেন্সিকে পাতাগুলো রান্না করে খাওয়াতে শুরু করলেন। এভাবে ১ সপ্তাহ করার পর নেন্সি সুস্থ হয়ে উঠল।
সুস্থ হয়েই নেন্সি বলল-দেখলে মা আমি গাছটির যত্ন নিয়েছিলাম তাই গাছটিও তার প্রতিদান হিসেবে আমাকে সুস্থ করে তুলল।
এবং তারপর থেকে, নেন্সির মা এই রকম অনেকগুলি ফুল গাছ রোপণ করেছিলেন এবং তাদের যত্ন করেছিলেন।
নিতীকথা – বাহ্যিক দিক দেখে কোনোকিছুকে বিচার করতে নেই।
অনুবাদক- আদিলা নুর তাবাসসুম
লিখাটি ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে আপনার রিয়েকশন দিবেন এবং কমেন্ট করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ লিখাটি পড়ার জন্য।
0 Comments