এক সময় একটা হাতি ছিল। হাতিটি খুব সুন্দর বাচ্চা হাতি ছিল।কিন্তু তার খুব কষ্ট ছিল। কারন সে জানত না সে কী করবে আর কি হবে। 

একদিন ছোট্ট হাতিটা জানালার কাছে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল আর গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিল। 
হঠাৎ বাইরে বৃষ্টি শুরু হলো।হাতিটি তখনও জানালার কাছে বসে ছিল। কিছুক্ষন পরে একটি শিয়াল আসল। সে বৃষ্টিতে ভিজছিল কারন তার কাছে ছাতা ছিল না। সে হাতি টাকে দেখল আর বলল - ওহ! তোমার কতো বড় কান! এমন কান দিয়ে তুমি আমাকে বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে পারবে। 


হাতিটি তার কথা শুনে আনন্দিত হলো এবং একটি বড় ছাতা হয়ে গেল। এভাবে শিয়াল, এবং খরগোশ,সজারু,পাখি,পাখির ছানাকে বৃষ্টি    থেকে বাঁচতে তার বড় কানের নীচে লুকিয়ে ছিল।


কিন্তু তারপরে বৃষ্টি শেষ হয়ে গেল এবং বাচ্চা হাতি আবার দু: খিত হয়ে উঠল। কারণ সে জানত না যে সে কি হবে। আবার জানালার কাছে বসে ভাবতে লাগল।

পাশ দিয়ে একটা খরগোশ ছুটে যাচ্ছিল।
খরগোশ টি হাতিকে দেখেই বলল -উহু! কি সুন্দর লম্বা নাক!তুমি খুব ভাল একটি জলের ক্যান হতে পারো ! তুমি কি আমার বাগানে জল দিয়ে দিবে?

 হাতি খুশি  হয়ে বলে হ্যাঁ আমি জল দেব । সে খরগোশের বাগানের ফুল, ঘাস, গাছে পানি দিল।

তারপর, সূর্য ডুবে গেল, আকাশের তারাগুলো জ্বলে উঠল। রাত হয়ে আসল।

সমস্ত ব্যাঙ, সমস্ত শিয়াল, সমস্ত খরগোশ বিছানায় গেল।

শুধু বাচ্চা হাতিটা জেগে ছিল— সে ভাবতে থাকে আর ভাবতে থাকে, সে কি হবে?

আর হঠাৎ সে আগুন দেখতে পেল। সে জানালার কাছে দৌড়ে গেলো আর দেখল জঙ্গলে আগুন লেগেছে। সে কিভাবে আগুন নেভাবে বুঝতে পারছিলো না।  প্রানিরাও জেগে উঠলো তারা দৌড়ে আগুনের কাছে এল। তারাও আগুন কে নেভাতে পারছিলো না কারন আগুন্টা বেশ বড় ছিল।

কিছুক্ষন পর হাতির মনে পড়ল যে সে তো তার নাক ফিয়ে জল ফিতে পারে। সে নদীতে ছুটে যায় আর জল নিয়ে আসে। সেই জল ফিয়ে সে আগুন নেভায়। 
 বনের প্রাণীগুলো আগুন নেভানোর জন্য হাতিকে ধন্যবাদ জানাল এবং তাকে বনের অগ্নিনির্বাপক বানিয়ে দিল।

বাচ্চা হাতির খুব গর্বিত ছিল। সে এখন একটি হলুদ ক্যাপ পড়ে। এখন সে  খেয়াল রাখে যে বনে  কোথাও  আগুন লেগেছে কিনা ।
 যখন কোথাও আগুন লাগে না তখন সে বনের প্রাণীগুলোকে তাদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। বনের প্রাণীগুলোকে বৃষ্টি হলে তার কানের নিচে জায়গা দেয় যাতে তারা  বৃষ্টিতে ভেজা থেকে বাঁচতে পারে নিতে পারে

অনুবাদক- আদিলা নুর তাবাসসুম