একবার রিংকি কিন্ডারগার্ডেন থেকে ফিরছিল। সে দিন সে দশ পর্যন্ত গুনতে শিখেছিল। সে তার বাড়িতে পৌঁছাল এবং দেখল তার ছোট বোন পিংকি ইতিমধ্যে গেটে অপেক্ষা করছিল।

সে গর্বের সঙ্গে তার ছোট বোনকে বলল -, আমি ইতিমধ্যে জানি কিভাবে গণনা করতে হয়! কিন্ডারগার্টেনে শিখেছি। দেখ কিভাবে আমি সিঁড়ির সমস্ত ধাপ গণনা করব।

তারা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে শুরু করল, এবং রিংকি জোরে ধাপগুলি গণনা করল:

- এক দুই তিন চার পাঁচ ...
পাচ পর্যন্ত বলেই রিংকি থেমে গেল। পিংকি জিজ্ঞাসা করল - আচ্ছা, তুমি থামলে কেন? 

রিংকি বলল -দাঁড়াও, আমি ভুলে গেছি পরবর্তী ধাপ কোনটি। আমি এখনই মনে করছি।

পিংকি বল - ভাল করে মনে কর।

তারা সিঁড়িতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল। রিংকি বলল -না, এটা মনে করতে পারছি না। তাইলে আবার শুরু করা যাক।

ওরা সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল। তারা আবার উপরে উঠতে শুরু করল।

-রিংকি আবার বল -এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ ...

এবং সে আবার থামলেন।

- আবার ভুলে গেছ? - পিংকি জিজ্ঞাসা করল।

- ভুলে গেছি!এমন কেন হচ্ছে?! শুধু ৫ পর্যন্ত মনে আছে এরপরেরগুলো ভুলে গেছি! বেশ, আবার চেষ্টা করা যাক.

তারা আবার সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল, এবং রিংকি শুরু থেকেই শুরু করল

- এক দুই তিন চার পাঁচ ...

- আপু তুমি আবার ভুলে গেছ। তুমি ঠিকভাবে সংখ্যাগুলো শিখনি। আমরা বার বার উপর নিস করছি। আমার পা ইতিমধ্যে ব্যাথা হয়ে গেছে।

রিংকি বলল - তুমি যদি এটি না চাও তাইলে তুমি যেতে পার।আমার মনে না হওয়া পর্যন্ত আমি যাব না।

পিংকি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বলল:

- মা, আপু সিঁড়িতে ধাপ গণনা করছে কিন্তু তার এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, এরপর থেকে আর মনে নেই।

মা বলে-এবং তারপর ছয়

পিংকি দৌড়ে সিঁড়িতে ফিরে গেল, এবং রিংকি তখনও সিড়ির ধাপগুলো গণনা করছিল

- এক দুই তিন চার পাঁচ ...

পিংকি চিৎকার দিয়ে বলে উঠে -ছয় ! ছয় ! ছয়!

রিংকি খুশি হয়ে বল - হ্যাঁ ছয় !
এরপরের সংখ্যাগুলো তার মনে ছিল। সে সেগুলো গণনাকরে খুশি মনে সিড়ি দিয়ে এগিয়ে গেল।

এটা ভাল যে সিঁড়ি দশ পর্যন্তই শেষ হয়েছিল , অন্যথায় সে কখনও বাড়িতে পৌঁছাতে পারত না, কারণ সে কেবল দশ পর্যন্ত গণনা করতে শিখেছিল।

অনুবাদক :আদিলা নুর তাবাসসুম