একসময় বনে একটি ডাইনোসর ছিল। সে সবসময় মন খারাপ করে থাকত। সে কখনও হাসত না এবং কারও সাথ মেলামেশা করত না। এমনকি তার নিজের কোনো ঘরও ছিল না, কারণ তার এমন কোনো বন্ধু ছিল না যে তার বাড়িতে আসবে। আর সে খুবই ভয়ংকর দেখতে ছিল। 

সমস্ত বনের প্রাণী ডাইনোসরকে প্রচন্ড ভয় পেত। যখন সে কোথাও যেত আশে পাশের সকলে তাকে দেখে ভয়ে কেউ ঝোপের নিচে, কেউবা গর্তে লুকিয়ে পরত। 

একদিন ডাইনোসর সন্ধ্যাবেলা জঙ্গলেএকটি জায়গা খুঁজছিল ঘুমানোর জন্য। কিছুক্ষন খুঁজার পর সে একটি জায়গা পেল। সে সেখানে শুয়ে পড়ল। কিন্তু সে খেয়ালই করল না যে ওখানে একটি ইঁদুুুরের বাসা ছিল আর সে তার পিঠ দিয়ে ইঁদুরের গর্তের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।

একটু পরে ইঁদুরটি ছুটে এল। আর দেখল দরজা বন্ধ! সে নানা ভাবে তার বাসায় ডুকার চেষ্টা করল কিন্তু কিছুতেই ঢুকতে পারল না। 

তারপর সে সিদ্ধান্ত নিল সে ডাইনাসোরকে জাগাবে। সে ডাইনাসোরকে জাগানোর একটা বুদ্ধি বের করল। সে ডাইনাসোরের গায়ে উঠে সুড়সুড়ি দেওয়া শুরু করল। 

তারপর,,, ডাইনোসর জেগে উঠল আর মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে হাসতে শুরু করল। সে কোনো মতেই হাসি থামাতে পাড়ছিল না। অবশেষে, ডাইনোসর হাসতে হাসতে কাঁদতে শুরু করে এবং হাঁচি দিতে শুরু করে। যখন সে শান্ত হলো সে ইঁদুর টাকে দেখতে পেল আর বলল- কত চমৎকার যে তুমি আমাকে হাসিয়েছ! কিন্তু তুমি এমনটা কেন করলে? ইঁদুরটি বলল - কারন তুমি আমার বাসার সামনে শুয়ে পড়েছ।আমি আমার বাসায় ঢুকতে পারছি না। ডাইনোসর বলল - ওহ! আমি দুঃখিত। আমি এক্ষুনি সরে যাচ্ছি। আচ্ছা একটা কথা বলি? 
ইঁদুর উত্তর দিল - হ্যাঁ বলো। 
ডাইনোসর বল - তুমি কি আমার বন্ধু হবে? 
ইঁদুর একটু ভেবে বলল - আচ্ছা ঠিক আছে। 
তারপর ডাইনোসরটি তার বাসার সামনে থেকে সরে যায় আর ইঁদুরটি তার বাসায় ঢুকে পড়ে 


এরপর থেকে, তারা বন্ধু হয়ে যায় এবং এখনও তারা বন্ধু আছে। তারা একসাথে হাঁটে,খেলা করে এবং আঁকে। এবং ডাইনোসরটি এখন প্রায়ই হাসে! ডাইনোসরকে এখন মোটেও ভয়ংকর লাগে না। তাই বনের সমস্ত প্রাণী ডাইনোসরের সাথে বন্ধুত্ব করেছে।একটি খরগোশ, এবং একটি নেকড়ে, এবং একটি ব্যাঙ,এমনকি একটি ভালুক! তারা ডাইনোসরের জন্য একটি বড় সুন্দর বাড়ি বানিয়েছে এবং প্রত্যেকেই তার সাথে দেখা করতে আসে।  

অনুবাদক : আদিলা নুর তাবাসসুম