পাঠ্যবইয়ে ৬০ ডিগ্রী কোণ আঁকা অনেক আগে থেকেই শেখানো হলেও রেডিয়ান কোণের ধারণা দেয়া হয় নবম শ্রেণি থেকে। আমরা চাঁদা ব্যতীত ৬০ ডিগ্রী কোণ আঁকতে পারি কম্পাসের সাহায্যে। প্রথমেই কল্পনা করে নেই কিভাবে ৬০ ডিগ্রী কোণ আঁকতাম (চাঁদা ছাড়া)।
[ সংক্ষেপে নিয়মটা ]
প্রথমে একটি রশ্মি নিই। রশ্মির প্রান্তবিন্দুতে কম্পাসের কাঁটা স্থাপন করে সুবিধামতো ব্যাসার্ধ নিই। এবং সেই ব্যাসার্ধের বৃত্তচাপ দিই রশ্মির উপর। রশ্মির যে বিন্দুতে বৃত্তচাপটি ছেদ করেছে, এবার সেই বিন্দুতে কম্পাসের কাঁটাটি স্থাপন করে ঐ একই ব্যাসার্ধ নিয়ে আরেকটি বৃত্তচাপ দিই, যা পূর্বের চাপটিকে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে ছেদ করবে। রশ্মির প্রান্তবিন্দু এবং বৃত্তচাপ দুটির ছেদবিন্দু সংযোগ করে রেখাটি বর্ধিত করি।
এইতো ৬০ ডিগ্রী কোণ আঁকা হয়ে গেলো। এখন অনেকেই বলবেন, এ আর নতুন কী! বরং এই কেতাবী ভাষা-ই বিরক্ত লাগে! তারচেয়ে হাতে কলমে করা ৯ সেকেন্ডের কাজ।
হুম, ঠিক তাই। কিন্তু হঠাথ আমার এই বেকুবী মাথায় এক উদ্ভট চিন্তা এলো " রেডিয়ান কোণ আর ৬০ ডিগ্রী কোন নাকি একই"! অর্থাৎ ১ রেডিয়ান কোণ= ৬০ ডিগ্রী কোণ।
আচ্ছা, আমার এই ভুলভাল কথা প্রমানের আগে রেডিয়ান কোণের সংজ্ঞা জেনে নেই।
রেডিয়ান কোণ - কোনো বৃত্তের ব্যাসার্ধের সমান চাপ ঐ বৃত্তের কেন্দ্রে যে চাপ উৎপন্ন করে সেই চাপকে ১ রেডিয়ান বলে।
এই সংজ্ঞাটাই আমার মাথা নষ্টের জন্য দায়ী!! সংজ্ঞাটা পড়ামাত্রই কেনো যেনো মিল খুঁজে পেলাম কম্পাস ছাড়া ৬০ ডিগ্রী কোণ আঁকার পদ্ধতি আর রেডিয়ানের এই সংজ্ঞাটাতে।
যেনো মনে হলে দুইটি পদ্ধতি বা পদ্ধতির ধরণাতো সম্পুর্ণ এক, এক সূত্রে বাঁধা।
রেডিয়ানের ক্ষেত্রেও ব্যসার্ধের সমান চাপ নেয়া হয়, ৬০ ডিগ্রী কোণ অঙ্কনের ক্ষেত্রেও তো ঐ সমান ব্যসার্ধের দুইটি চাপ নেয়া হয়।
তাহলে কি রেডিয়ান কোন আর ৬০ ডিগ্রী কোন একই??
নাহ! একই নয়,,,
আমার এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। কিন্তু, কেন?
কারণ, ১ রেডিয়ান কোণ = ৫৭.২৯৫৮ ডিগ্রী (প্রায়)
কেন মানটা ৬০ এর সমান না হয়ে খুব কাছাকাছি হলো???
আপনারা কি ধরতে পেরেছেন কারণটি কী?তাহলে ঝটপট জানিয়ে দিন কমেন্টে।
আর আমি আমার ক্যাল্কুলেশনে এই তারতম্যের পেছনে যে কারণটি ধরতে পেরেছি, তা পরবর্তী ব্লগে জানিয়ে দিবো।
ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন।
ভাবতে থাকুন।
আপনাদের মাথায় এমন আজব চিন্তা আসে কী না আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
ফেনী গার্লসের সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।
লেখক - রুকাইয়া জাহান
- special thanks to ADILA
0 Comments