কয়েকদিন আগের কথা।.....
২৯ সেপ্টেম্বর। আমরা স্বপরিবারে ঢাকায় গিয়েছিলাম । ঢাকায় আমরা নানুর বাসায় ছিলাম। আমার নানুর বাসা ৬ তলা বিল্ডিংয়ের সব চেয়ে উপরের তলায় অর্থাৎ ছাদের সাথে। আমার নানুর বাসাটা বেশ সুন্দর ও অনেক বড়। নানুর বাসার দুপাশে ছাদ। দুপাশের ছাদেই নানু শাক সবজির ও ফুলের বাগান করেছেন। যতদিন সেখানে ছিলাম ততদিনই আমি প্রায় বাগানে যেতাম, বেশ ভালই লাগত। এখন আমি ঢাকায় কাটানো দিন গুলোর মধ্যে আমার পছন্দের একটি দিনের কথা বলব।
দিনটা ছিল ৫ অক্টোবর। রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ। হঠাৎ কালো মেঘ করে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টির সাথে কিছুটা বিদ্যুৎ ও চমকেছিল। আমি রান্না ঘরের দরজায় গিয়ে বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে ঝমঝম করে পরা বৃষ্টির ফোটাগুলো দেখছিলাম। বৃষ্টির ফোটাগুলো টুপটাপ শব্দ করে গাছের পাতায় ও ফুলের পাপড়ির উপর পরছিল। চারিদিকটা বৃষ্টির পানিতে সজীব হয়ে যাচ্ছিল।বৃষ্টির পরতে দেখে তখন আমার মন চাইছিল কফি খেতে। কিন্তু নানু কফি খান না। তাই বাসায় কফিও নেই। এই ভেবে ইচ্ছা টাকে নিজের মনের এক ক্ণায় রেখে দিলাম। কিছুক্ষণ আনমনে হয়ে দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখলাম। রান্নাঘরের পাশেই একটা ডালিম গাছ ছিল। আমি দরজার সামনে একটু এগিয়ে গিয়ে গাছে যে ছোট্ট ডালিমটি ধরেছিল সেটি ধরলাম। ডালিমটার রঙ বেশ গাঢ় লাল ছিল। বৃষ্টির পানিতে ডালিমটি ধুয়ে চকচক করছিল। আমি কিছুক্ষণ ডালিমটা দেখেই ঘরে ঢুকে এলাম। ঘরে ঢুকেই নানুর রুমে চলে আসলাম। নানুর রুমের বিছানায় কিছুক্ষন শুয়ে ছিলাম। দুপুরের খাবারে সেদিন খিচুড়ি রান্না হয়েছিল।বৃষ্টির মৌসুমে আচার দিয়ে খিচুড়ি খাওয়াটা বেশ উপভোগ করেছিলাম। বিকাল বেলায়ই বৃষ্টি থেমে যায়। আকাশটা আবার তার নিত্যদিনের রূপ ধারন করে। কাল ফিরে যাব বলে শেষ বারের মতো বাগানটা দেখতে গেলাম আর সাথে বাবার মোবাইলটাও নিলাম কিছু ছবি তুলতে। এভাবেই এটা সেটা করতে করতে বাকি সময়গুলো কাটালাম। পরেরদিন সকালে নাস্তা করে, জিনিসপত্র গুছিয়ে ফেনীর উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
লিখিকা : আদিলা নুর তাবাসসুম
লিখাটি ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে আপনার রিয়েকশন দিবেন এবং কমেন্ট করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ লিখাটি পড়ার জন্য।
0 Comments