একদা এক গ্রামে এক বৃদ্ধ বাস করতেন। তিনি ছিলেন গ্রামের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যবান ব্যক্তি। দুঃখ ছিলো তার নিত্যদিনের সঙ্গি। তিনি সবসময় হতাশ থাকতেন এবং তার মেজাজও ছিলো অনেক খিটখিটে। এই কারণে গ্রামবাসীরা তার সাথে খুবই কম মেলামেশা করতেন।




দিনদিন বৃদ্ধ আরও খিটখিটে হতে লাগলো। কারও সুখই তার সহ্য হতো না। তার প্রতি সকলে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলো । 

কিন্তু হঠাৎ একদিন... এমন এক ঘটনা ঘটলো যা সবাইকে হতবাক করে রেখে দিলো।





গ্রামের মানুষ বৃদ্ধলোকটিকে হাসতে দেখলো। আগের সেই খিটখিটে মেজাজের বুড়ো এখন হাসছে, সবার সাথে কথা বলছে।  

খবরটি সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো, সবাই বলাবলি করতে লাগলো। এবং এরই মধ্যে গ্রামে কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়লো। 

"বুড়ো মনে হয় পাগল হয়েছে"
"বুড়োকে ভূতে ধরলো না তো?"
"বুড়ো বয়সে ভীমরতি!"




ঘটনার সত্যতা জানতে গ্রামের একদল মানুষ বৃদ্ধের ঘরে এসে হাজির হলো। তারা বৃদ্ধকে তার খুশি থাকার রহস্য জিজ্ঞাসা করলো।


বৃদ্ধলোকটি মুচকি হেসে বললো...

 "বিশেষ কিছু না৷ এতো বছর আমি ভেবেছি কিভাবে সুখী থাকা যায়। ভাবতে ভাবতে যখন মাথাব্যথা হয়ে গেলো, তখন ভাবলাম আর ভেবে লাভ নেই। সুখ দিয়ে কি হবে, একদিন তো মরেই যাবো।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এখন থেকে জীবনকে প্রাণখুলে উপভোগ করবো । আর একারণেই আমি খুশি। কিছু বুঝলে?"





বৃদ্ধলোকটির কথা গ্রামবাসীকে অনেক প্রভাবিত করলো। যদিও গ্রামবাসী তাকে এখনো পাগলই ভাবে।


নিতী কথা : সুখের পেছনে ছুটে লাভ নেই। জীবনকে উপভোগ করাতেই প্রকৃত সুখ।  


অনুবাদক : আদিলা নুর তাবাসসুম।